একজন স্বপ্নবাজ তরুণ, যিনি দেখেছিলেন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন। এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে তিনি ২০১৭ সালে শুরু করেন নিজের উদ্যোগ একটি ক্ষুদ্র পরিসরের ব্যবসা । সেই সময় থেকেই নিরলস পরিশ্রম আর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার মাধ্যমে তিনি একটি ক্ষুদ্র পরিসরের প্রতিষ্ঠানকে আজকের সফল “Shamim Group of Tech and Textile” এ রূপান্তর করেছেন। প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং টেকসই উন্নয়নের পথে প্রতিষ্ঠানটি আজ দেশের একটি বিশ্বস্ত নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
যাত্রার শুরুতে প্রতিষ্ঠানটি সীমিত পরিসরে কাজ করলেও স্বপ্নের লক্ষ্য ছিল অনেক বড়। প্রতিষ্ঠানের কাঠামো ক্রমাগত বিস্তৃত হয়। তিনি শুধু নিজের ব্যবসা পরিসর করার উদ্দেশে উদ্বেগ নেন নি। তিনি নিজের দেশের জন্য এবং দেশে থাকা মানুষদের জন্য কর্মসংস্থান এর সুযোগ করেছেন। সবসময় মানুষের কল্যাণের উদ্দেশে কাজ করে গিয়েছেন। ভব্যিষতে ও তিনি দেশের বেকারত্ব দূর করার উদ্দেশে এবং সমাজের কল্যাণের জন্য কাজ করে করবেন। বর্তমানে “Shamim Group of Tech and Textile” এর অধীনে রয়েছে চারটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান, যেগুলো একসঙ্গে কাজ করে দেশের প্রযুক্তি, কৃষি ও ব্যবসায়িক খাতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।
এই গ্রুপে বর্তমানে প্রায় ১০০ জন এর বেশি কর্মী এবং একটি বিশাল বিক্রয়কর্মী বাহিনী কাজ করছে। তাদের নিরলস প্রচেষ্টার ফলেই প্রতিষ্ঠানটি শহর থেকে শুরু করে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে। “Shamim Group of Tech and Textile”-এর পণ্য ও সেবার মান এখন গ্রাহকদের কাছে বিশ্বস্ততার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
“Shamim Group of Tech and Textile” সুনামধন্য এবং আত্মনির্ভর একটি কোম্পানি। এই কোম্পানিতে কর্মরত কর্মচারীদের মধ্যে পরিবারের মতো সম্পর্ক রয়েছে। কর্মচারীদের প্রয়োজন মতো সুযোগ সুবিধা ও দেয়া হয়। তাদের খারাব পরিস্থিতে তার পশে দাঁড়ান মহান উদ্যোক্তা। তিনি কর্মচারীদের প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হিসেবে দেখেন। তিনি মানেন যে প্রতিষ্ঠানের সফলতা কর্মচারীদের পরিশ্রম, দক্ষতা এবং উৎসাহের ওপর নির্ভরশীল। তিনি কর্মচারীদের স্বপ্ন ও লক্ষ্যকে গুরুত্ব দেন এবং তাদের পেশাগত উন্নতির জন্য প্রশিক্ষণ ও সহায়তার ব্যবস্থা করেন। কর্মচারীদের ব্যক্তিগত চাহিদা ও সমস্যাগুলো বুঝতে চেষ্টা করেন এবং সহানুভূতির সঙ্গে সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেন।
“Shamim Group of Tech and Textile” চারটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন খাতে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কর্ম পরিচালনা করেন। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই নিজস্ব কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
1. TAKESELL
TAKESELL একটি উদ্ভাবনী ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, যা “শিল্পের ছোঁয়া” স্লোগান নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এই প্ল্যাটফর্ম নিজস্ব কারখানায় আধুনিক ডিজাইনের ফার্নিচার কভার উৎপাদন করে, যা সারা দেশে সরবরাহ করা হয়। TAKESELL দেশের ফার্নিচার শিল্পে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
ফার্নিচার কভারের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি পোশাক ও অন্যান্য পণ্য নিয়েও কাজ করছে। গতানুগতিক ই-কমার্সের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে TAKESELL নতুন নতুন পণ্য তৈরি ও বিক্রয়ে মনোনিবেশ করেছে। বর্তমানে প্ল্যাটফর্মটি ৩০০টিরও বেশি ডিজাইন এবং ১০০টিরও বেশি পণ্য নিয়ে কাজ করছে। TAKESELL গ্রাহকদের জন্য নির্ভরযোগ্য এবং মানসম্মত পণ্য নিশ্চিত করে দেশের ই-কমার্স খাতে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।
PENSOFT TECH ডিজিটাল সেবা ও প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশে নতুন যুগের সূচনা করেছে। এটি ওয়েব ৩, এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা), আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস), ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনসহ বিভিন্ন ডিজিটাল সেক্টরে কাজ করার পরিকল্পনা করেছেন।
শুধু প্রযুক্তিগত সেবা প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, PENSOFT TECH রোবোটিক্স নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কাজও করে যাচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানটি তরুণ প্রজন্মের প্রযুক্তি জ্ঞান উন্নত করতে এবং ডিজিটাল খাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে।
TS Sublimation Printing আধুনিক প্রিন্টিং প্রযুক্তির মাধ্যমে সৃজনশীলতার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি অত্যাধুনিক মেশিন ব্যবহার করে ফেব্রিক, ব্যানার, জার্সি, আইডি কার্ড এবং থ্রিডি প্রিন্টসহ বিভিন্ন ধরনের প্রিন্টিং সেবা প্রদান করে।
প্রতিটি প্রিন্টেই সৃজনশীলতার ছাপ রাখার জন্য TS Sublimation Printing খ্যাতি অর্জন করেছে। এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হলো গ্রাহকদের সর্বোচ্চ মানের সেবা প্রদান এবং প্রিন্টিং খাতকে আরও আধুনিক করা।
কৃষি খাতের উন্নয়ন ও টেকসই কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান Arshinagar Agro। এটি গবাদি পশুর খামার, উন্নত পশুখাদ্য উৎপাদন এবং কৃষি খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার করে দেশের কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এই প্রতিষ্ঠানটি দেশের কৃষকদের উন্নত প্রযুক্তি সরবরাহ করে তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করছে। Arshinagar Agro-এর লক্ষ্য হলো টেকসই কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা।
Shamim Group of Tech and Textile ভবিষ্যতে আরও নতুন নতুন প্রকল্প নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করছে। তাদের একটি উল্লেখযোগ্য ভবিষ্যৎ প্রকল্প হলো GAI Courier Service, যা সারা দেশে প্রয়োজনীয় পণ্য হোম ডেলিভারির মাধ্যমে মানুষের জীবনকে সহজতর করবে।
Shamim Group of Tech and Textile-এর মূল কার্যালয় ঢাকার হেমায়েতপুরে অবস্থিত। আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন এই কার্যালয় কর্মীদের জন্য একটি পরিবারসুলভ পরিবেশ তৈরি করেছে। এখানে প্রতিটি কর্মীই কোম্পানির লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করছেন।
Shamim Group of Tech and Textile-এর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য দেশের তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ জনবলে পরিণত করা। তারা নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য উৎসাহিত করছে।
প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য কেবল নিজস্ব লাভ নয়, বরং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখা। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে তাদের সেবা পৌঁছানোর মাধ্যমে Shamim Group স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
Shamim Group of Tech and Textile এক তরুণ উদ্যোক্তার স্বপ্নের সফল বাস্তবায়নের গল্প। তাদের নিরলস পরিশ্রম, সৃজনশীল উদ্ভাবন, এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে অগ্রযাত্রা দেশের শিল্প, প্রযুক্তি ও কৃষি খাতকে নতুন দিগন্তে নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানের মতো ভবিষ্যতেও প্রতিষ্ঠানটি দেশের উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা পালন করবে। Shamim Group-এর এই সফল যাত্রা দেশের তরুণদের স্বপ্ন দেখার এবং সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।